Tuesday, December 5, 2017
Thursday, January 12, 2017
Missing life Event
কলাই পথ মাপতে হবে ¶গতকাল স্টাটাস দিলাম ২৭ রমজান বাড়ি থাকতে পারলাম না সেই আপসোস করে কিন্তু এমন অনেক ঈদ আসবে যে কোন আপসোস ছাড়াই বাড়ির বাইরে কাটিয়ে দূর বহুদূরে থেকে কাটিয়ে দিতে হবে!ছোটবেলা আব্বা ভাই আর আমি মিলে যেতাম ঈদের মাঠে| আব্বা আর ভাই ঈদের নামাজ পড়তে যেত আর আমি ঈদের মাঠে ঘুরতাম!|আব্বা ১০ টাকা দিয়ে যেত নামাজে সেই টাকাই ফুরাতে পারতাম না!!!!কিন্তু আনন্দ ছিল সীমাহিন!আব্বা ২০০৫ এর রোজায় ঈদের ২ দিন পর চলে গেলেন আমাদের দুজনকে রেখে!!!!এখন প্রতি ঈদে ভাই আর আমি যায় |আমি একটু লেজি ঈদের দিনও দেরিতে ঘুম থেকে উঠি মানে প্রতি ঈদে আমার মায়ের কমন ডাইলগ যে"আজ ঈদের দিন বাইরে সবাই মজা করছে আর তুই......"তারপর গোসল করতেও দেরি ভাই দিবে বকা করব তাড়াতাড়ি তারপর আমারা রওনা হইয়|এই বকা খাওয়াটা যেদিন শেষ হয়ে যাবে সেদিন সব থেকেও নাই হয়ে যাবে.যাহোক আর আমার মধ্যেও একটা পরিবর্তন হয়েছে সেটা হলো এখন আর ঈদের মাঠে হাওয়া না খেয়ে নামাজে দাড়ায়!কিন্তু মিসিংতো একটা থেকেই গেলো হ্যাঁ আব্বা ছিলো না আমাদের সাথে কিন্তু নামাজ পর যায় তার কাছে........এটাইতো সত্যি কাছের মানুষ দূরে সব দূরে চলে যাই চিরতরে যা ইচ্ছে করলেও ধরে রাখা যায় না!তার জ্বলন্ত একটা প্রমাণ আমার মাও মেনে নিতে শুরু করেছে আমি আর সেই ছোট্ট মনি নেই..........
Still remains wishes
ইচ্ছের হাতছানি (Still remains wishes)
যখন এক বাবার দুবাহুতে দুইটি ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া, ছোট্ট ছেলেটি কে ১০ টাকা দিয়ে ঈদের নামাজে বড় ছেলের সাথে এদিকে ঈদের মাঠে ঐ ছোট্ট ছেলেটির আনন্দের শেষ নেই ওদিকে নামাজ শেষ তাঁরা দুজনে একজন ছেলেকে আর একজন ভাইকে খুজছে |এখন বাবা আর ছেলেকে খুঁজেন না কিন্তু সেই ভাইটি এখনও তাঁর বাহুতে আগলে চলেছে |এখন আর তিনজন যায়না নামাজে যায় দুজন, এখন আর সেই ছোট্ট ছেলেটি ঈদগাহে ছুটে বেড়ায় না|এভাবেই চলে গেলো তাদের ১০ টি বছর যা পূর্ণ হল ৭ নভেম্বর |সেই ছোট্ট ছেলেটি আজ অনেক বড় অনেক বন্ধু-বান্ধব তারা তার কাছে তার বাবার সাথে কাটানো গল্পগুলো করে কিন্তু তাঁর গল্পের শিরনামে থাকে তার ভাই |কারন তার জানাই নেই ,মনের অজান্তেই চলে আসে „সবসময় হাসে বন্ধুদের সাথে সর্বদাই হাসে মনখাপ নামক জিনিসটাই বুঝি নেই |একাকী কখনো মনটা খারাপ হয়ে গেলেও একাকী থাকার চেষ্টা |কখনো কাছের কেও ধরতেও পারেনা তার মনটা খারাপ,বন্ধুরা ফোনে আওয়াজ কম পেলেও ভেবে উঠে তার প্রতি আমি অসন্তুষ্ট কিন্তু আমি যে বোঝাতে পারিনা |||হায় হায় কখন ছেলেটির জায়গাই আমি বসানো শুরু করছি হ্যা ঐ ছোট্ট ছেলেটি আর কেওনা ছিলাম আমি আমার বাবা আর ভাই |
Last visit
শেষ দর্শন (Last visit)
উঠতে উঠতে ৯.২০ পরে ১০ মিনিটে সকলের সকল কাজ সেরে খাওয়া সহ বেরিয়ে পড়লাম, খুব ক্ষিপ্র বেগে চলছি যে আমার বুড়িমা কাল মারা গেছে ,তাতে আমার মা খুবই ভেঙে পড়েছেন আবার জানাজারও সময় হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু মানুষ যা চাই তা হয়না তা আবার প্রমাণিত!হরতালের কারণে যাত্রী নেই তাই গাড়ি যেতে চাইছে না ,যাহোক অনেক কষ্টে পৌছলাম|হাটা শুরু করেছি বাড়ির দিকে(আমাদের বাড়িতে সহজে যেতে পাশের গ্রামের ভেতর দিয়ে একটি রাস্তা আছে যা দিয়ে সহজে বাড়িতে পাড়ি জমানো যায় )যেতে দেখি এক নেতা কিছু ছাঙ্গ - পাঙ্গদের নিয়ে যাচ্ছেন, তো তাদের কথব্যকথন এই যে শালারা ভালো খানা করবে না, ৫ তারিখে খানা হবে!!!!
(আরে ছালা মানুষ মরলেই তোদের ভালো এই ভেবে যে একটা খানা খাওয়া যাবে!)
তা শুনলাম তারপর কিছুদূর আগাতেই গ্রামের বন্ধুদের সাথে দেখা, তো যাচ্ছি মৃতাকে দেখতে তো একজন বলল দাড়া আমিও যাব|ওকে চল |দেখে এলাম, দেখি মরা বাড়িতে অনেক মানুষ আসছে তাদের কিছু কথাও শুনলাম, কবরে জায়গা নিয়ে নাকি সমস্যা ,টাকা দিয়ে জায়গা কিনতে হবে কিন্তু কেও দেওয়ার লোক নেই অথচ যিনি মারা গেছেন তাঁর একটা ছেলে ও নাতি প্রকৌশলী অন্য আরএকে ছেলে ও ছেলের বউ হেলথ এ চাকুরি করত বা করে এবং মেয়েজামাই বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজনীতিবিদ এবং শিল্পপতি পরে বুড়িমার অদূরসম্পর্কের এক নাতি এসে সমাধা করল! পরে দেখলাম কিছু বিশিষ্ট জনেরা এলেন তাদের মধ্যে দুএক জনের কথা বলি! তারমধ্যে একজন হল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধক্ষ সাপ, তিঁনি আসছেন জানাজার সময় |পরে কবরের কাছে গেলেন, গিয়ে তাঁর পুরোনো এক বন্ধুর সাথে আলোচনা করছেন একটা খাবার নিয়ে তিঁনি নাকি তা অনেক দিন খান না (শুনে মনে হল এই পৃথিবীতে তারচেয়ে ভালো খাবার আর কিছুই নেই) বলে হাসাহাসি শুরু করে দিলে |দেখে মনে হচ্ছিল যে............
আর একজন হল কুষ্টিয়া জর্জ কোর্টের সাবেক প্রসিকিউটর যিনিও এসেছেন জানাজার সময় |দেখে মনে হল তাঁর খুব প্রিয় ব্যাক্তি ছিলেন মৃতা তাই তিঁনি কবরের উপরে জুতা পায়ে উঠে মুখ খুলতে বললেন|হায়রে পৃথিবী কত রঙ দেখাইলা আমারে |
এতকিছুর মাঝেও সবচেয়ে যে জিনিসটা আমার দৃষ্টিআকর্শন করল, তা হল আমরা যা দেখি সাধারণত মুদ্দার বড় ছেলে তাঁর মৃত বাবা - মা এর জন্য ক্ষমা চাই,কিন্তু তাঁর দুই অযোগ্য সন্তান তা করতে পারলেন না ক্ষমা চাইলেন তাঁর সেই অদূর সম্পর্কের নাতি!
২
জানাজায় ডোকার রাস্তাই দেখি আমাদের গ্রামের মেম্ববর সাহেব দাড়িয়ে ঢুকছিলাম আমারা কয়একজন একসাথে, আমার ই বয়সী সব | তিঁনি বললেন জানাজা শেষে দেখা করে যেতে ,আমাদের গ্রামের একটা উন্নয়ন প্রকল্প হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে | ওকে গেলাম আমাদের সম্পদ আমাদের কাছে রাখতে | গিয়ে দেখি একটা রেজিস্টার খাতায় নাম সই করতে হবে ,ওকে শুরু করে দিলাম সই করা ,আমি নিজেই ২০ টা করলাম (আমাদের জিনিস আমাদের কাছেই রাখতে হবে,কি গ্রামপ্রেম মাইরে!!)এসে দেখি আমাদের বাড়িতে অনেক লোক! যা হোক আমিই সবার ছোট, বেশ নানারা খুকুমণির মত আদর করল যেনো আমি কেবল ইশকুলে যাওয়া শুরু করেছি ,আদর খাওয়া শেষে তাঁদের বিদেয় দিয়ে গেলাম বাড়ির সামনের রাস্তা য় চোখে পড়ে গেল একটা রিয়েলিটি শো :শো টি হল ৩টি গ্রাম্য বালিকা রাস্তা ধরে আসছে উদ্মারের মত ,আর পেছন থেকে একটা নছিমন এসে দিল ধাক্কা দেখে মনে হল পশ্চিমা ছিনেমার কোনো স্টান্ড চলছে|সেখানে ই দেখা এক কোচিং এর পরিচালক সাপ এর সাথে ,ওমা নিয়ে গেলেন তার সাথে ,এই বলে যে কিছু লোকের সাথে কথা বলাতে এবং বললেন আমাকে ঐ কোচিং এ ক্লাশ নিতেই হবে| মাইরে!!! ইচ্ছে ছিল আজই মেসে ফিরে আসব শেষ পর্যন্ত পারলাম না, পরিচালক সাপ এর থেকে বিদেয় নিতে নিতে অনেক রাত হয়ে গেল, শেষে মায়ের ফোনে ফিরে গেলাম বাড়িতে ..........
উঁ বাড়ির টা বলব না "ঘরের কথা পরকে বলব কেনো!!!!!"
(আরে ছালা মানুষ মরলেই তোদের ভালো এই ভেবে যে একটা খানা খাওয়া যাবে!)
তা শুনলাম তারপর কিছুদূর আগাতেই গ্রামের বন্ধুদের সাথে দেখা, তো যাচ্ছি মৃতাকে দেখতে তো একজন বলল দাড়া আমিও যাব|ওকে চল |দেখে এলাম, দেখি মরা বাড়িতে অনেক মানুষ আসছে তাদের কিছু কথাও শুনলাম, কবরে জায়গা নিয়ে নাকি সমস্যা ,টাকা দিয়ে জায়গা কিনতে হবে কিন্তু কেও দেওয়ার লোক নেই অথচ যিনি মারা গেছেন তাঁর একটা ছেলে ও নাতি প্রকৌশলী অন্য আরএকে ছেলে ও ছেলের বউ হেলথ এ চাকুরি করত বা করে এবং মেয়েজামাই বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজনীতিবিদ এবং শিল্পপতি পরে বুড়িমার অদূরসম্পর্কের এক নাতি এসে সমাধা করল! পরে দেখলাম কিছু বিশিষ্ট জনেরা এলেন তাদের মধ্যে দুএক জনের কথা বলি! তারমধ্যে একজন হল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধক্ষ সাপ, তিঁনি আসছেন জানাজার সময় |পরে কবরের কাছে গেলেন, গিয়ে তাঁর পুরোনো এক বন্ধুর সাথে আলোচনা করছেন একটা খাবার নিয়ে তিঁনি নাকি তা অনেক দিন খান না (শুনে মনে হল এই পৃথিবীতে তারচেয়ে ভালো খাবার আর কিছুই নেই) বলে হাসাহাসি শুরু করে দিলে |দেখে মনে হচ্ছিল যে............
আর একজন হল কুষ্টিয়া জর্জ কোর্টের সাবেক প্রসিকিউটর যিনিও এসেছেন জানাজার সময় |দেখে মনে হল তাঁর খুব প্রিয় ব্যাক্তি ছিলেন মৃতা তাই তিঁনি কবরের উপরে জুতা পায়ে উঠে মুখ খুলতে বললেন|হায়রে পৃথিবী কত রঙ দেখাইলা আমারে |
এতকিছুর মাঝেও সবচেয়ে যে জিনিসটা আমার দৃষ্টিআকর্শন করল, তা হল আমরা যা দেখি সাধারণত মুদ্দার বড় ছেলে তাঁর মৃত বাবা - মা এর জন্য ক্ষমা চাই,কিন্তু তাঁর দুই অযোগ্য সন্তান তা করতে পারলেন না ক্ষমা চাইলেন তাঁর সেই অদূর সম্পর্কের নাতি!
২
জানাজায় ডোকার রাস্তাই দেখি আমাদের গ্রামের মেম্ববর সাহেব দাড়িয়ে ঢুকছিলাম আমারা কয়একজন একসাথে, আমার ই বয়সী সব | তিঁনি বললেন জানাজা শেষে দেখা করে যেতে ,আমাদের গ্রামের একটা উন্নয়ন প্রকল্প হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে | ওকে গেলাম আমাদের সম্পদ আমাদের কাছে রাখতে | গিয়ে দেখি একটা রেজিস্টার খাতায় নাম সই করতে হবে ,ওকে শুরু করে দিলাম সই করা ,আমি নিজেই ২০ টা করলাম (আমাদের জিনিস আমাদের কাছেই রাখতে হবে,কি গ্রামপ্রেম মাইরে!!)এসে দেখি আমাদের বাড়িতে অনেক লোক! যা হোক আমিই সবার ছোট, বেশ নানারা খুকুমণির মত আদর করল যেনো আমি কেবল ইশকুলে যাওয়া শুরু করেছি ,আদর খাওয়া শেষে তাঁদের বিদেয় দিয়ে গেলাম বাড়ির সামনের রাস্তা য় চোখে পড়ে গেল একটা রিয়েলিটি শো :শো টি হল ৩টি গ্রাম্য বালিকা রাস্তা ধরে আসছে উদ্মারের মত ,আর পেছন থেকে একটা নছিমন এসে দিল ধাক্কা দেখে মনে হল পশ্চিমা ছিনেমার কোনো স্টান্ড চলছে|সেখানে ই দেখা এক কোচিং এর পরিচালক সাপ এর সাথে ,ওমা নিয়ে গেলেন তার সাথে ,এই বলে যে কিছু লোকের সাথে কথা বলাতে এবং বললেন আমাকে ঐ কোচিং এ ক্লাশ নিতেই হবে| মাইরে!!! ইচ্ছে ছিল আজই মেসে ফিরে আসব শেষ পর্যন্ত পারলাম না, পরিচালক সাপ এর থেকে বিদেয় নিতে নিতে অনেক রাত হয়ে গেল, শেষে মায়ের ফোনে ফিরে গেলাম বাড়িতে ..........
উঁ বাড়ির টা বলব না "ঘরের কথা পরকে বলব কেনো!!!!!"
Dead speak
মৃত কথা বলে(Dead speak)
যাক্তির সবচেয়ে খুশি হবার কথা ছিল তিঁনিই ......
.............................. ....২......................... ............
যখন আমার দাদীজান একটি পাগল ও একটি দুরন্ত ছেলেকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ,কেও দেখার নেই! তখন আমার বাবাও অনেক ছোট, ঠিক তখনি আমার বাবাকে পাঠানো হল সংসারের হাল ধরার জন্য| অনেক কষ্টের পর যখন দাদীজান একটু সুখের মুখ দেখলেন তখনি তিঁনিও ......
(হুমায়ূন খালুর কথা মিলে গেল কিছু কিছু মানুষের জন্মই হয়েছে কষ্ট করার জন্য)!তাঁর কপালেও সইল না |চলে গেল আমার এক পুরুষ!!!
.............................. ....৩......................... ........
সবাইকে হারিয়ে যখন আমার বাবা আর জটন চাচা তাঁদের পাগল ভাই আর তাঁদের নিজ নিজ সংসার নিয়ে একটু স্বস্তিতে আছেন ঠিক তখনি মরন ছোঁবল ছুয়ে গেল আমার সেই একটিমাত্র বুদ্ধিদিপ্ত চাচার উপর, তাতেই তিনিও বিলিন! তখন আমার চাচিজান আর আমার একটিমাত্র চাচাতো বোনকে নিয়ে পড়লেন খালে(!) খালে বলছি এজন্য যে তিনি আবার আমাদের জন্য একটা বর্গা চাচা জোগাড় করেছিলেন! চাচীজানের কপালে বুঝি স্বামী নেই! সেই বর্গা চাচাও ..........
পরে আমার বোনটিকেই সংসারের হাল ধরতে হল!
.............................. ..৪........................... .......
আমার বাবা যদিও লেখাপড়া করার কোনো সুযোগই পাননি তবুও তিঁনি ছিলেন সচেতন! সচেতন এজন্য বলব আমার মায়ের কাছে শোনা গল্প তিঁনি যখন তাঁর জীবন সঙ্গীনি খুঁজছিলেন তখন একজন শিক্ষিতাকে চেয়েছিলেন এ জন্য যে তিঁনি পড়াশোনা করতে পারেনি তা যেনো তাঁর ছেলেমেয়েদেরকে প্রভাবিত করতে না পারে [আব্বা আপনি নেপোলিয়নের সেই কথা জাতেন কি না যানিনা ("আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতী উপহার দিব") তবুও আপনার প্রতি আমাদের লাল সালাম]তাই হতে চলছিল যখন আমার ভাইজান কর্মমুখী বোন তিনটিও শিক্ষিত প্রায় তখনি তাঁর কপালে শিক্ষিতর ফল দেখে যাওয়া সইল না! আমার বাবার ভাষায় বলছি "আমার ছাওয়াল মিয়া একদিন BA,MA পাশ করবি" তাঁর ইচ্ছে অবশ্য পুরন হয়েছিল আমার একটি বোন আর একটি ভাই BA পাশ করেছিল! আমি তখন খুব ছোট আমাকে গোপণ করে আব্বার মরনব্যধির কথা বড়রা আলচনা করছিল ,কিন্তু কিভাবে যেনো আমি শুনে ফেলি |আমার খুব ভালো মনে আছে যে খুব খুব কেঁদেছিলাম আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেনো আব্বাজানের আর ৫ বছর আয়ু বাড়িয়ে দেওয়া হয়! এজন্য যে আমি তখন হেফজ খানায় পড়তাম নুরানী শেষ করেছি মাত্র ,৫ বছর লাগবে হেফজ শেষ করতে |কিন্তু তাঁর সেই নাবালক ছেলেদের প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা শুনেছেন কিনা জানিনা তবে তাঁর আয়ু বাড়ানো হয়নি! আর আমার হেফজও শেষ করা হয়নি! তারপরিবর্তে আমাকে করা হয়েছে বুদ্ধিশূন্য পাগল, তা এতোই প্রকট যে শিকল পায়ে পরানো লাগত (হে হে সে কথা এখন কোনো নাজানা লোক বুঝতে পারে না যে আমি পাগল অবশ্য যে আমার খুব খুব খুবই কাছে আসতে পারে সে বুঝে যায়,তাই সহজে কাওকে কাছের স্থানটা দিতে চাইনা.:-p)!
.............................. ....৫......................... ........
এখন আর একটিমাত্র ফুফু আর সেই পাগল চাচাজানই অতিকষ্টে আছেন আমাদের সাথে! আর আছেন সবচেয়ে আপনজন আমার মা !তাঁরাও এমন হয়েগেছে যেনো সুযোগ পেলেই আমাদের ফাঁকি দিতে পারলে বাঁচেন!
এতোকিছুর পর আর অন্যকেও (পর) কষ্ট দিলে কি আমার কষ্ট পাওয়া সাজে! যে ব্যাক্তি জীবনের সবচেয়ে বড়াবড় কষ্টগুলোর কাছ দিয়ে গেছে তাকেতো আর কষ্ট পেলে চলে না! এখন খালুর কথাটা মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলেই আমি রোবট টাইপ মানুষ হয়ে যেতে পারতাম !কথাটা এই "যে মানুষ মিথ্যা কথা বলতে পারে না সে রোবট টাইপ মানুষ "|কিন্তু আমি চাইনা যে কথাটা মিথ্যা প্রমানিত হোক!কি লাভ মিথ্যা প্রমাণ করে যেমন আছি ভালোই তো আছি,!শেষ করি প্যাচাল জবস কাক্কুর কাথা মডিফাই করে "ক্ষুধার্ত আছি, বোকা আছি"
ভালোইতো আছি.........
..............................
যখন আমার দাদীজান একটি পাগল ও একটি দুরন্ত ছেলেকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ,কেও দেখার নেই! তখন আমার বাবাও অনেক ছোট, ঠিক তখনি আমার বাবাকে পাঠানো হল সংসারের হাল ধরার জন্য| অনেক কষ্টের পর যখন দাদীজান একটু সুখের মুখ দেখলেন তখনি তিঁনিও ......
(হুমায়ূন খালুর কথা মিলে গেল কিছু কিছু মানুষের জন্মই হয়েছে কষ্ট করার জন্য)!তাঁর কপালেও সইল না |চলে গেল আমার এক পুরুষ!!!
..............................
সবাইকে হারিয়ে যখন আমার বাবা আর জটন চাচা তাঁদের পাগল ভাই আর তাঁদের নিজ নিজ সংসার নিয়ে একটু স্বস্তিতে আছেন ঠিক তখনি মরন ছোঁবল ছুয়ে গেল আমার সেই একটিমাত্র বুদ্ধিদিপ্ত চাচার উপর, তাতেই তিনিও বিলিন! তখন আমার চাচিজান আর আমার একটিমাত্র চাচাতো বোনকে নিয়ে পড়লেন খালে(!) খালে বলছি এজন্য যে তিনি আবার আমাদের জন্য একটা বর্গা চাচা জোগাড় করেছিলেন! চাচীজানের কপালে বুঝি স্বামী নেই! সেই বর্গা চাচাও ..........
পরে আমার বোনটিকেই সংসারের হাল ধরতে হল!
..............................
আমার বাবা যদিও লেখাপড়া করার কোনো সুযোগই পাননি তবুও তিঁনি ছিলেন সচেতন! সচেতন এজন্য বলব আমার মায়ের কাছে শোনা গল্প তিঁনি যখন তাঁর জীবন সঙ্গীনি খুঁজছিলেন তখন একজন শিক্ষিতাকে চেয়েছিলেন এ জন্য যে তিঁনি পড়াশোনা করতে পারেনি তা যেনো তাঁর ছেলেমেয়েদেরকে প্রভাবিত করতে না পারে [আব্বা আপনি নেপোলিয়নের সেই কথা জাতেন কি না যানিনা ("আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতী উপহার দিব") তবুও আপনার প্রতি আমাদের লাল সালাম]তাই হতে চলছিল যখন আমার ভাইজান কর্মমুখী বোন তিনটিও শিক্ষিত প্রায় তখনি তাঁর কপালে শিক্ষিতর ফল দেখে যাওয়া সইল না! আমার বাবার ভাষায় বলছি "আমার ছাওয়াল মিয়া একদিন BA,MA পাশ করবি" তাঁর ইচ্ছে অবশ্য পুরন হয়েছিল আমার একটি বোন আর একটি ভাই BA পাশ করেছিল! আমি তখন খুব ছোট আমাকে গোপণ করে আব্বার মরনব্যধির কথা বড়রা আলচনা করছিল ,কিন্তু কিভাবে যেনো আমি শুনে ফেলি |আমার খুব ভালো মনে আছে যে খুব খুব কেঁদেছিলাম আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেনো আব্বাজানের আর ৫ বছর আয়ু বাড়িয়ে দেওয়া হয়! এজন্য যে আমি তখন হেফজ খানায় পড়তাম নুরানী শেষ করেছি মাত্র ,৫ বছর লাগবে হেফজ শেষ করতে |কিন্তু তাঁর সেই নাবালক ছেলেদের প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা শুনেছেন কিনা জানিনা তবে তাঁর আয়ু বাড়ানো হয়নি! আর আমার হেফজও শেষ করা হয়নি! তারপরিবর্তে আমাকে করা হয়েছে বুদ্ধিশূন্য পাগল, তা এতোই প্রকট যে শিকল পায়ে পরানো লাগত (হে হে সে কথা এখন কোনো নাজানা লোক বুঝতে পারে না যে আমি পাগল অবশ্য যে আমার খুব খুব খুবই কাছে আসতে পারে সে বুঝে যায়,তাই সহজে কাওকে কাছের স্থানটা দিতে চাইনা.:-p)!
..............................
এখন আর একটিমাত্র ফুফু আর সেই পাগল চাচাজানই অতিকষ্টে আছেন আমাদের সাথে! আর আছেন সবচেয়ে আপনজন আমার মা !তাঁরাও এমন হয়েগেছে যেনো সুযোগ পেলেই আমাদের ফাঁকি দিতে পারলে বাঁচেন!
এতোকিছুর পর আর অন্যকেও (পর) কষ্ট দিলে কি আমার কষ্ট পাওয়া সাজে! যে ব্যাক্তি জীবনের সবচেয়ে বড়াবড় কষ্টগুলোর কাছ দিয়ে গেছে তাকেতো আর কষ্ট পেলে চলে না! এখন খালুর কথাটা মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলেই আমি রোবট টাইপ মানুষ হয়ে যেতে পারতাম !কথাটা এই "যে মানুষ মিথ্যা কথা বলতে পারে না সে রোবট টাইপ মানুষ "|কিন্তু আমি চাইনা যে কথাটা মিথ্যা প্রমানিত হোক!কি লাভ মিথ্যা প্রমাণ করে যেমন আছি ভালোই তো আছি,!শেষ করি প্যাচাল জবস কাক্কুর কাথা মডিফাই করে "ক্ষুধার্ত আছি, বোকা আছি"
ভালোইতো আছি.........
Love and Politics
লাভ কাপল |
রাজনীতি :যার ইংরেজি politics, রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রেম : যার ইংরেজি Love, প্রেম হল
ভালোবাসা'র এক প্রকার রহস্যময় এবং উত্তেজনাপূর্ণ আবেগ বা অনুভূতি।
এখন এ দুইয়ের মাঝে একটা সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করা যাক : উপরের সংজ্ঞা দুটি উইকিপিডিয়া থেকে হুবহু কপি করা যদিও এর অনেকখানি এক্সটেনশন আছে কিন্তু সেটা না বলে আমারা একটু ভিন্ন ধরনের কথা বলার চেষ্টা করব. :-)
রঙিন এ শহরে দুটোই পাশাপাশি থাকে, এখন একটাকিছু মিল করার চেষ্টা করি : একটা ছেলে সদ্য পলিটিক্সে জয়েন করেছে, মন প্রাণ দিয়ে সে রাজনীতি করে যাচ্ছে কিন্তু রাজনীতির কিছু কৌশল তার অজানা, সে নিয়ম করে নেতাদের সাথে ঘুরে কাজ করে,মানুষের স্বভাবসুলভ ভাবেই সে ভাবতে শুরু করল সেও নেতা হবে তখন সে নেতা হওয়ার জন্য যে কাজগুলো দরকার করা শুরু করল, এতে দ্যাখা গেল তাকে ডাইনামিক হওয়া লাগছে, তাকে চারদিকে না বহুদিকে খেয়াল রাখা লাগছে,সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লাগবে ধনী ব্যাক্তির সাথে লাগবে ঝাঝালো কিছু রাজনীতিবিদের সাথে, দলের জুনিয়রদের ট্যাকেল করা লাগবে আবার সিনিয়রকে ট্যাকেল করা লাগছে তেমনি।সেটা বিভিন্ন ভাবে হতে পারে, সৎ হতে পারে আবার অসৎ ভাবে হওয়াটাও অস্বাভাবিক না।যদি পারলে তো টিকে গেলে না পারলে তো ......
এবার একজন সদ্য গজানো গোপওয়ালা প্রেমিকের প্রোমোশনের ধাপগুলো দেখি : আমাদের দেবদাসের কোনোভাবে একজন পারুকে দেখে চোখ আটকে গেলো বা অনেক কাল আগে থেকেই দেখে আসছে, এখন তার প্রোমোশন দেওয়া যাক তিনি পারুকে গিয়ে বলে দিবেন? পারু রাজী হওয়া না, হওয়া পরের ব্যাপার।কর্পোরেট পারুদের নাগালে যাওয়ার আগের ঘটনাগুলো কিন্তু ঐ কর্মী থেকে নেতা হয়ে ওঠা ছ্যাড়ার মতই .:-p আমাদের কর্পোরেট দেবদাস বাবুকেও হতে হবে ডাইনামিক, তাকে মিলিয়ন দিকে নজর রাখতে হবে, যেমন ধরুন কয়টা ছেলে বা ছেলের বাবা আমাদের পারুকে চাই, ট্যেক্কা দিতে হবে গুরু ট্যেক্কা, এখানে যদি আরও থাকে প্রভাবশালী কোনো ভিলেন তবে তো কোনো গানই নেই,তাকেও দিতে হবে ট্যেক্কা! যদি ট্যাকা থাকে তবে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি! পারুকে ট্যাকেল করাটাও জরুরি. :-)
উপেরের রাজনীতির সংগায় একটা গোষ্টি কে জয় করার কথা বলা আছে সেটা নিসন্দেহে কঠিন কাজ,একজন রাজনীতিবিদকে অনেক চৌকস হওয়া লাগে সবদিকে দেও লাগে নজর,তারচেয়ে আমাদের প্রেমগুলোর ক্ষেত্রে বেশি পরিমানে কাঠখড় পোড়ানো লাগে! এখানে প্রেমের ক্ষেত্রে একজনকে জয় করতেই এত কিছু. :-( সে হিসেবে বলা যায় একজন মনের মত প্রেমিকা পাওয়া আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রায় সেইম কাজ :-)
এক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে আছে তারা কিন্তু চাইলেই ..........:-p
উপরের ঘটনা রেভার্সও হতে পারে, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই!
পুনশ্চ ১: প্রেম করার চেয়ে রাজনীতি করা ভালো. :-p
পুনশ্চ ২:প্রেম যেহেতু হরমোন ঘটিত একটা ঘটনা সুতরাং দরকার কি কন্ট্রোলের ঝামেলা করে. :-p
Subscribe to:
Posts (Atom)